First Casino In United Kingdom Having won a little money, many users, dazzled by the desire to win big, fall into this trap and can no longer imagine their lives without gambling. Play For Free Win Real Money Bingo Uk Again you can review them with no deposit using the fun play mode. Zeus Vs Hades App Review
দেবীদ্বার (কুমিল্লা) সংবাদদাতা:
কুমিল্লার দেবীদ্বারের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘রামপুর ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসা’য় একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আসবাব সামগ্রী ভাংচুর, লুটপাট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারিদের মারধর ও মোহতামিমকে লাঞ্ছিত করে ঘার ধাক্কাদিয়ে মাদ্রাসা অফিসথেকে থেকে বের করে প্রতিষ্ঠানটি তালাবন্দী করে রাখার অভিযোগ করেছেন ওই মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (১৭ মে) দুপুরে স্থানীয় ‘ডায়না হোটেলে‘রামপুর জামেয়া ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসা’ পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক ও এলাকাবাসী আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী অত্র মাদ্রাসার মুহতামিম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের উপর হামলা এবং মুহতামিমকে লাঞ্ছিত করে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়ে প্রতিষ্ঠানে তালাবন্দী করে রেখেছে। হামলায় আহত ৫ জনকে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। মাদ্রাসা বন্ধ থাকার কারনে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যহত হচ্ছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা লোকমান হোসেন, হাফেজ মাওলানা এমরান হোসেন, মাওলানা জামসেদ হোসেন, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, এম এ মুহিত, মাওলানা মুফতি ছানাউল্লাহ, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. হারুনুর রশিদ, মোঃ মিজানুর রহমানসহ শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। সম্মেলনে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা লোকমান হোসেন বলেন, রামপুর মাদ্রাসা একটি ঐতিহাসিক দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তার বাবা মৃত মাওলানা মোঃ গফুর ১৯৩২ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যাপক সুনাম রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু দীর্ঘ দুই যুগ ধরে অব্যবস্হাপনা, দুর্নীতি, অনিয়ম ও লুটপাটের কারণে কওমির বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলের প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের পথে। তিনি জানান, মাদ্রাসার উন্নয়নে তিনি ১৯৮৬ সালে সৌদী আরব চলে যাওয়ার সময় তারই আপন ছোট ভাই হাফেজ সালমানকে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিমের দায়িত্ব দেন। কিন্তু সে মুহতামিমের যোগ্য না হওয়া সত্বেও প্রতিষ্ঠাতার সন্তান হওয়াতে সুযোগ করে দেওয়া হয়। তিনি সৌদী আরবে থাকাকালীন মাদ্রাসার উন্নয়নে বিপুল অর্থ প্রদান করতেন। এরি মধ্যে তারই ছোট ভাই হাফেজ মাওলানা এমরান হোসেন পাকিস্তান থেকে ১৯৯২ সালে ইসলামি শিক্ষার উপর ডিগ্রি শেষ করে দেশে আসেন। মাওলানা এমরানকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বললে, হাফেজ সালমান ষড়যন্ত্র করে তাকে দূরে সরিয়ে দেন। পরে তিনি ২০০৪ সালে সৌদি আরব থেকে দেশে এসে পূর্বের ন্যায় দায়িত্ব নিতে চাইলে তার ছোট ভাই হাফেজ সালমান রাজনৈতিক ভাবে প্রভাব খাটিয়ে আপন ৪ ভাইকে দূরে সরিয়ে রাখেন। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী এ মাদ্রাসায় এক সময় শতশত শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণের জন্য দূর দূরান্ত থেকে এসে লেখাপড়া করত। এখানকার শিক্ষার সুনামের জন্য আশেপাশের ১২টি গ্রামের লোকজন এখানে টাকা পয়সা দান করত। তবে গত দুই যুগ ধরে হাফেজ সালমান মাদ্রাসার লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের কারণে শিক্ষার মান ক্ষুন্ন হওয়াতে এ নিয়ে পাশর্^বর্তী ১২ গ্রামের অধিবাসীরা প্রতিবাদ জানান। এরই মধ্যে একাধিক শিক্ষক তাদের বকেয়া বেতন না পেয়ে অন্যত্র চলেগেছেন, কেউ কেউ মারাও গেছেন। কিন্তু হাফেজ সালমান রাজনৈতিক প্রভাবে তা দমিয়ে রাখত। গত বছরের নভেম্বরে এলাকাবাসী ও ৩১ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ এর বৈঠকে সকলের সম্মতিক্রমে রেজুলেশন করে হাফেজ মাওলানা লোকমান হোসেনকে নতুন মুহতামিম এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরই মধ্যে গদ ১৫ মে এ হামলা চালানো হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনকে অবহীত করা হয়েছে।
সম্মেলনে সম্মেলনে তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের বিচার এবং পুনরায় মাদ্রাসায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার দাবি করার দাবি জানান।