নিজস্ব প্রতিবেদক
বসন্ত- পোলিও- হাম’র মতো যক্ষ্মা বিশ্ব গড়ায় সচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই।
বৃহস্পতির সকাল ১০টায় ‘বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নিমূলে- জীবন বাঁচাই সবাই মিলে’-এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে ‘বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের আলোচনায় আলোচকরা ওই বক্তব্য তুলে ধরেন।
আলোচকরা বলেন, ১৮৮২ সালের এই দিনে ড. রবার্ট কোচ যক্ষ্মার জীবাণু আবিষ্কার এবং এর রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের পথ উন্মোচন করেন। তাকে স্মরণ করেই এই দিনটিতে যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়ে আসছে। যক্ষ্মা এখনো বিশ্বের দশটি মৃত্যুজনিত কারণের মধ্যে অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতিদিন বিশ্বে চার হাজার মানুষ যক্ষ্মা রোগে মারা যান এবং ৩০ হাজার আক্রান্ত হচ্ছেন।
২০১৮ সালে সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে বিশ্বে নেতৃবৃন্দ একমত হওয়ার পরই ২৪ মার্চ দিবসটি উদযাপনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সরকার, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন সংস্থা, স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে যক্ষ্মা রোগী খুঁজে চিকিৎসা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এখন দেবীদ্বারে যক্ষ্মা রোগি সনাক্তকরণ, তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান, রোগিদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে অনেকটা সাফল্যের পথে। এছাড়াও উপজেলার স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে জিন এক্সপার্ট মেসিন স্থাপন ও উপজেলার একাধিক ইউনিয়নে যক্ষ্মার রোগ নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রনে এনটিবি চালু, কফ পরীক্ষাসহ নানাভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে দেবীদ্বারে ৭৪২ জন রোগি চিকিৎসাধীন আছে, এদের মধ্যে দু’জন এনবিআর’র রোগি রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় একটি বর্নাঢ্য র্যালী উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ এনামুল হক’র সভাপতিত্বে এবং ব্র্যাক দেবীদ্বার শাখার যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ সমন্বয়ক মোঃ ফজলুর রহমান’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মঞ্জুর রহমান, মেডিকেল অফিসার ডাঃ শরিফুল আলম সাকিল, ডিজিজ কন্ট্রোল মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ সোহেল রানা, মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোশার রফ হোসেন টিটু প্রমূখ।