7777 Casino Bonus Codes 2025 Only the Money, Multiplier, and Extra Spin symbols are in play during the respin round. Bingo Rochester Ireland As of today, only Michigan, New Jersey, and Australia have a live dealer section available for US players. Bet Online Casino Bonus
ছুটির এ দিনে যাদের বাজার করার অভ্যাস, তাদের পকেটে আজ বাড়তি টাকা থাকতে হবে। এর একটি কারণ হলো গত শুক্রবারও ঢাকার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকায়। এক সপ্তাহ পর আজ শুক্রবারে একই ওজনের মুরগি কিনতে বাড়তি আরো ১০ টাকা খরচ করতে হবে।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। আর পাকিস্তানি কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল (বৃহস্পতিবার) ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকায়। আর পাকিস্তানি কক মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।
ব্যবসায়ীদের অভিমত, দুদিন পরেই শবে বরাত। আর শবে বরাতে মুরগির চাহিদা বেশি থাকে। এ কারণেই এখন মুরগির দাম বেড়ে গেছে। শবে বরাতের আগের দিন মুরগির দাম আরো বাড়তে পারে।
খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মিলন শেখ বলেন, মুরগির দাম আগে থেকেই বাড়তি। তবে মাঝে দাম কিছুটা কমে কয়েকদিন ধরে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। পাকিস্তানি সোনালী মুরগির কেজি ১৬০ টাকা থেকে কমে ১৩০ টাকা হয়েছিল। কিন্তু শবে বরাতের কারণে এখন আবার মুরগির দাম বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, মুরগির দাম নির্ভর করে পাইকারি বাজারের ওপর। গতকাল ব্রয়লার মুরগির কেজি আমরা ১৫০ টাকায় বিক্রি করলেও আজ কেনাই পড়েছে ১৫০ টাকা। এই দামে মুরগি কিনে ১৬০ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব না। আজ তাও ১৬০ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি পাওয়া যাচ্ছে, দুদিন পর আরো বেশি দামে ব্রয়লার কিনতে হবে।
রামপুরার ব্যবসায়ী মো. ইসহাক বলেন, শবে বরাতের আগে মুরগির দাম বাড়বে এটা স্বাভাবিক বিষয়। আর শবে বরাতের আগে আজ শেষ শুক্রবার। স্বাভাবিকভাবেই আজ চাহিদা বেশি। এ কারণে দামও বেশি।
তিনি বলেন, গতকাল আমরা লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি করেছি ১৯০ টাকা। আর আজ কিনেই এনেছি ১৯০ টাকা কেজি। কোনো কোনো ক্রেতা এসে ১৯০ টাকা দাম বলে ঘুরে যাচ্ছে। লোকসান দিয়ে তো আর বিক্রি করা সম্ভব না। আজ যারা ২০০ টাকা কেজি লেয়ার মুরগি কিনছে না, তারাই দুদিন পর ২৩০ টাকা কেজি কিনবে। কারণ শবে বরাতের আগের দিন মুরগির দাম আরো বাড়বে বলে আমাদের ধারণা।
শবে বরাতকে সামনে রেখে মুরগির দাম বাড়লেও স্বস্তি দিচ্ছে পেঁয়াজের দাম। হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পর গত সপ্তাহে দাম কমা পেঁয়াজের দাম নতুন করে আরো কমেছে। এতে দুই সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা।
এখন ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি।
পেঁয়াজের পাশাপাশি স্বস্তি দিচ্ছে রসুন, আদা, জিরা এবং ডিম। ফার্মের মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি আদা। জিরা পাওয়া যাচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি।
পেঁয়াজের দামের বিষয়ে মালিবাগের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, কিছু দিন আগে হুট করে পেঁয়াজের দাম যেভাবে বেড়েছিল, আমরা ধারণা করছিলাম রোজার আগে পেঁয়াজের দাম আর কমবে না। কিন্তু দুই সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দাম কমেছে। ৫৫ টাকা থেকে কমতে কমতে পেঁয়াজের কেজি এখন ৩৫ টাকায় নেমেছে। শুনছি সামনে দাম আরো একটু কমতে পারে।
এদিকে, দুই সপ্তাহ আগে দুই’শ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সজনের ডাটার দাম কমে এক’শ টাকায় চলে এসেছে। বাকি সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে শশার দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শশার দাম বেড়ে ৫০ টাকা হয়েছে।
অন্যান্য সবজির মধ্যে পটল ও ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ টাকা। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
এছাড়া বেগুনের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গাজরের কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ফুলকপি, বাঁধাকপির ও লাউয়ের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস।