Live Dealer Casino Blackjack There are a lot of reasons why, but first among them is likely the ease of learning how to play and the massive amount of television exposure Texas Hold'em has got in the the last 6-8 years. Games Casino Australia Similar to other slot games, you can choose the amount you wish to bet, and the number of paylines. Blackjack Furniture Birmingham Al
কুমিল্লার দেবীদ্বারে বাবার জীবণ বাঁচাতে নিজ মেয়ে তার লিভারের ৬০% উৎস্বর্গ করেছেন।
বাব-মেয়ের এ বিরল ঘটনাটি ঘটে দেবীদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের দুয়ারীয়া গ্রামে। ওই গ্রামের মরহুম মোহাম্মদ আলীর পুত্র ও দুয়ারীয়া এজি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ’র প্রভাষক মাওলানা মো. নুরুল ইসলাম(৫৪) ও তার মেঝো মেয়ে উম্মে আয়মন’র মাঝে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মাওলানা মো. নুরুল ইসলাম ২০১২ সাল থেকেই অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। শারিরীক পরীক্ষা নিরীক্ষায় প্রথমে এইচবিএস ধরা পড়ে,পরে লিভার সিরোসিস এবং সম্পূর্ণ লিভার ডেমেজ হয়ে গেলে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে চলে যান। মাওলানা মো. নুরুল ইসলাম’র ৫ সদস্যের পরিবারের মধ্যে স্ত্রী ১ পুত্র ও ৩ কণ্যাসহ ৫ সদস্যের পরিবার। মাওলানা মো. নুরুল ইসলাম’র ৫ সদস্যের পরিবারের মধ্যে স্ত্রী জুলেখা বেগম গৃহীনি, ১ পুত্র মো. আসাদুল্লাহ গলিভ ধামতী কামিল মাদ্রাসায় নবম শ্রেণীতে পড়ে, ৩ মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে উম্মে হাবিবা(২৪) ও উম্মে আয়মন(২২)’র বিয়ে হয়েগেছে। ছোট মেয়ে উম্মে হানি(১৮) কুমিল্লা ভিক্টোরীয়া সরকারি কলেজে অনার্স-এ পড়েন। দ্বিতীয় মেয়ে উম্মে আয়মন পিতার পাশে এসে দাড়ান। উম্মে আয়মন ঢাকা ডেমরা, সারুলিয়া ‘আসসিফা ফিজিও থেরাপি সেন্টার’-এ মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট’ হিসেবে কর্মরত আছেন। একই সেন্টারে তার স্বামী মো. মাকসুদুর রহমান ইমনও মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট’ হিসেবে কর্মরত আছেন। পিতাকে লিভারের ৬০% দানে স্বামীর অনুপ্রেঢ়নাও শক্তি যোগীয়েছে।
নুরুল ইসলাম বলেন, আমার চিকিৎসায় ঘটি-বাটি, গয়নাঘাটি, জমি বিক্রি ও দায়- দেনায় সর্বশান্ত হয়েগেছি। আমার চিকিৎসায় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেছে।
গত বছরের ২৯ জুলাই ভারতের দিল্লী ‘ইনিষ্টিটিউট অব লিবার এন্ড বিলানি সাইন্স হাসপাতালে ডাঃ বিলিয়েন্দ্র পামেজা’র তত্বাবধানে ভর্তি হন। গত ১১ নভেম্বর কণ্যা উম্মে আয়মনের লিবারের ৬০ শতাংশ কেটে নিয়ে পিতার বুকে প্রতিস্থাপনে সফল অস্ত্রপ্রচার করেন এবং গত ১৩ ডিসেম্বর দেশে ফিরে আসেন।
উম্মে আয়মন জানান, সন্তান হিসেবে পিতার জীবন বাঁচাতে আমার লিবারের অংশ দিয়ে নিজেকে ধণ্য মনে করছি। এক্ষেত্রে আমার স্বামীর অনুপ্রেঢ়না সাহস যোগিয়েছে। আমি এখন শাররিীক ও মানষিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ্য আছি। তার স্বামী মো. মাকসুদুর রহমান ইমন বলেন, আমার শ্বশুর আমার পিতার আসনের,পিতার জীবন বাঁচাতে আমর স্ত্রীর ইচ্ছাকে স্বাগত জানিয়ে নিজেও গর্ববোধ করছি।