On Line Casinos Australia The free spins winnings have a WR of 60x and a max cashout limit of 5x. Blackjack City Casino No Deposit Bonus Codes For Free Spins 2025 WV gamblers can contact the operators support team through live chat, phone, and contact forms. Live Online Roulette Casinos
কুমিল্লার দেবীদ্বারে কোটা বিরোধী আন্দোলনে কয়েকশত শিক্ষার্থী কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ-মিছিল-সমাবেশ করেছে এবং নানা শ্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলে। পরে ছাত্রলীগ নেতারা এসে পৌনে ১২টার দিকে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল সোয়া ১০টা থেকে কোটা বিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবীদ্বার নিউমার্কেট মুক্তিযুদ্ধা চত্তর ও স্বাধীনতা চত্তরকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে মহাসড়কের উভয় পার্শ্বে কয়েকশত যান ও পরিবহন আটকা পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারন যাত্রীরা।
এসময় দেবীদ্বার থানার বিপুল সংখক পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও পুলিশের উপস্থিতি দেখে বিক্ষোভকারীরা উত্তেজিত হয়ে নানা শ্লোগান দিতে থাকে, এসময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সভাস্থল থেকে প্রায় ২০/২৫ গজ দূরে নিউমার্কেট কাঁচাবাজারের সামনে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
নাম প্রকাশ না করে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের আন্দোলন করলে কোন সমস্যা নেই। তবে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতা করলে কোন ছার দেয়া হবেনা। তাই আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে অবস্থান করছি।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগ উপজেলা আহবায়ক আসাদুজ্জামান রনি ও সাবেক আহবায়ক ইকবাল হোসেন রুবেলের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন নেতা কর্মী এসে পৌনে ১২টার দিকে সড়ক থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় এবং যান চলচল স্বাভাবিক করে দেয়। আন্দোলনকারীরা পরে সুজাত আলী সরকারী কলেজ গেইটে অবস্থান নিলে সেখান থেকেও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাদের সরিয়ে দেয়।
কোটা আন্দোলনের একাধিক ছাত্র নেতা ক্ষোভের সাথে জানান, আমরা যাদের নেতৃত্বে আজকের এ কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছিলাম, তারা দূরে দাড়িয়ে অবস্থান করলেও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা যখন আমাদের ব্যানার, ফেষ্টুন কেড়ে নিয়ে ধাক্কাতে ধাক্কাতে সড়ক থেকে সড়িয়ে দিচ্ছিল, তখন আমরা কি করব ? এ বিষয়ে নেতৃবৃন্দের কোন দিক নির্দেশনা পাইনি। তাই আমরা বিক্ষোভ মিছিল করতে করতে এসএ সরকারী কলেজ গেইটের সামনে যেয়ে অবস্থান করি। সেখানেও ছাত্রলীগের বাঁধার মুখে মুখে পড়ি।
নাম না প্রকাশের শর্তে এক ছাত্রলীগের একজন নেতা বলেন, কোটা সংস্কারে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকার ব্যবস্থা নেবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব এখন আর সাধারন ছাত্রদের হাতে নেই, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র কোটা আন্দোলনে ঢুকে পড়েছে। কোটার শ্রেণী অনেক, আন্দোলনকারীরা একটি ভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধিতায় মাঠে নেমেছে। এটা উদ্দেশ্য প্রনোদীত। মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করে চরম ধৃষ্ঠতাই দেখায়নি, তারা মুক্তিযুদ্ধকে চরমবাবে অপমান করেযাচ্ছে, স্বাধীন সার্বভৌমত্বের অস্তিত্ব নিয়ে খেলছে। সাধারন ছাত্রদের আজকের বেশিরভাগ শ্লোগানই ছিল ‘রাজাকার, রাজাকার’। স্বাধীনতা সংগ্রামে রাজাকারদের কি ভূমিকা ছিল, তা সাধারন শিক্ষার্থীদের না বুঝিয়ে তারা ভিন্ন কথা বুঝিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা দেশে অরাজকতা ও নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। আজকে আমরা আন্দোলনরত সাধারন শিক্ষার্থীদের বিষয়টি বুঝালে ওরা আন্দোলন থেকে সড়ে যায়।