First Casino In United Kingdom Having won a little money, many users, dazzled by the desire to win big, fall into this trap and can no longer imagine their lives without gambling. Play For Free Win Real Money Bingo Uk Again you can review them with no deposit using the fun play mode. Zeus Vs Hades App Review
বৈদেশিক বাণিজ্য সহজ করতে বাংলাদেশের তিন সমুদ্র বন্দরের (চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা) পাশাপাশি আকাশ, রেল ও নৌপথ ব্যবহারের আগ্রহ দেখিয়েছে নেপাল।
দেশটির রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারির ঢাকা সফর নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিদ্যা দেবী ভান্ডারির ঢাকা সফরে আলোচনার বড় অংশজুড়ে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহারের বিষয়গুলো ছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ১৯৭৬ সালে সম্পাদিত নেপাল-বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তির প্রটোকলের সংযোজনী হিসাবে রোহানপুর-সিংঘাবাদ রেল সংযোগ পয়েন্টকে অন্তর্ভুক্ত করে দুই দেশের বাণিজ্য সচিবদের মধ্যে একটি লেটার অব এক্সচেঞ্জ (এলওই) সই হয়েছে। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলো স্থলবেষ্টিত নেপাল ও ভুটানকে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে মোমেন বলেন, নেপাল চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে আগ্রহী। এক্ষেত্রে মডালিটিগুলো নির্ধারণের কাজ এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ নেটওয়ার্ক ব্যবহারের পাশাপাশি নেপাল সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট এবং নেপালের বিরাটগর বা ভদ্রপুরের মধ্যে সরাসরি বিমান সংযোগ স্থাপনেও আগ্রহী জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রস্তাব দুটিকে স্বাগত জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে স্বাক্ষরিত বিবিআইএন মোটর ভেহিকলস এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিদ্যমান রুটগুলো ছাড়াও নতুন কিছু রুট অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনাকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চুক্তিটির ত্রিদেশীয় প্যাসেঞ্জার প্রটোকল স্বাক্ষরে বাংলাদেশ ও ভারত ইতোমধ্যে সম্মত হয়েছে। এ বিষয়ে নেপালের সম্মতি খুব দ্রুত পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা নেপাল এবং ভারতের নীতিগত সম্মতি পেয়েছি। সত্যিকার অর্থে ইন্সট্রুমেন্টটা স্বাক্ষর করার জন্য তারা প্রস্তুত আছেন। কিন্তু ভুটানের পার্লামেন্ট এটাকে এখনো অনুমোদন করেনি। এ কারণে আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটি দেশের মধ্যে এটা নিয়ে কাজ করছি, ভুটান পরেও যোগ দিতে পারে।
এ সময় নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরের বিষয়টি বর্তমানে চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটি সই হলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে। আমরা আশা করছি, চুক্তিটি দ্রুত সই হবে। নেপালের রাষ্ট্রপতি ভান্ডারি নেপালে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মোমেন।
তিনি বলেন, জলবিদ্যুতের ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্র্রসারণের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা স্মারকের আওতায় সচিব পর্যায়ের স্টিয়ারিং কমিটি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ বিষয়ক কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে জলবিদ্যুৎ খাতে বর্ধিত সহযোগিতার আশাবাদ জানিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশকে সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গেইটওয়ে তথা মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি হাবে রূপান্তরিত করতে চায় সরকার। এজন্য ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত পরিবহণ-সংযোগ অবারিত ও সুগম করার নানাবিধ উদ্যোগ চলমান রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আমাদের জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বার্তা অন দ্য ওয়ে। এছাড়া জার্মানির প্রেসিডেন্ট, স্পেনের রাজা, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। আরও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফী বিনতে শামস উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। সেখানে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা তাকে অভ্যর্থনা জানান। জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান নেপালের রাষ্ট্রপতি।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর এন আই খান, বিদ্যা দেবী ভান্ডারির মেয়ে ঊষা কিরণ ভান্ডারিও উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর নেপালের রাষ্ট্রপতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং পরিদর্শন বইতে সই করেন। দুপুরে ঢাকায় নেপাল দূতাবাসে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। বিকালে দেশের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন নেপালের রাষ্ট্রপতি। বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন তাকে বিদায় জানান।