Pirate Slots Casino No Deposit Free Spins Bonus Codes To get acquainted with this casino, please keep Melbourne this MaxiPlay review. Slot Online Indonesia Following the list of these most popular and top-quality game providers whose quality of the games is really at an unachievable level from the Sydney Dice casino, we can expect the best and highest quality titles of the games. Uk Online Casino News
বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: গত বছর লালমনিরহাটে আলু চাষ করে চাষিরা লাভ করলেও এবার তাদের উৎপাদিত সেই আলু দিয়ে বিপাকে পড়েছে চাষিরা। যেখানে প্রতি কেজি আলুতে উৎপাদন খরচ হয়েছে ১১ থেকে ১২ টাকা। সেই আলু সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় ৭ থেকে ৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই বাম্পার ফলনের পরেও তাদের গুণতে হচ্ছে লোকসান। হিমাগারের অভাবে চাষিরা সংরক্ষণ করতে পারছেন না তাদের উৎপাদিত আলু।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাটে ৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমি থেকে ২৭ লাখ ৮১ হাজার ৩০ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি আলু) আলু উৎপাদন হয়েছে। জেলার আটটি হিমাগারে আলু সংরক্ষণের সক্ষমতা রয়েছে ১৪ লাখ ৯১ হাজার ৪০০ বস্তা।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোস্তফি এলাকার আলু চাষি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আলু আবাদ করে এবছর কাঁদতে হচ্ছে ভাই। গত বছর আলু চাষ করে লাভ হয়েছিলেন, তাই এবছর বেশি জমিতে চাষ করেছিলাম। প্রায় এক লাখ টাকা খরচ করে এক একর জমি থেকে ১৮৫ বস্তা আলু উৎপাদন করেছি। মাত্র ৭০ বস্তা আলু রাখতে পেরেছি হিমাগারে আর ৩০ বস্তা বাড়িতে সংরক্ষণ করেছি। বাকি আলু বিক্রি করে দিতে হলো সাত টাকা, আট টাকা দরে। আরও বেশি ধারণ ক্ষমতার হিমাগার থাকলে আমরা বেশি আলু সংরক্ষণ করতে পরতাম। তাহলে আর লোকসানে পড়তে হতো না।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর গ্রামের আলু চাষি মজিদুল ইসলাম বলেন, দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে এক হেক্টর জমিতে আলু চাষ করেছি। ফলন পেয়েছেন ৪৬০ বস্তা আলু। এরমধ্যে মাত্র ১৫০ বস্তা হিমাগারে রাখতে পেরেছি। বাড়িতে বিশেষ ব্যবস্থায় ৫০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছি। বাকী ২৬০ বস্তা আট টাকা কেজি দাম ধরে স্থানীয় ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিতে হয়েছে। কেজিতে তিন থেকে চার টাকা লোকসান হলো। শেষ পর্যন্ত পুঁজি হারাতে হয় কিনা সেই ভয়ে আছি। আলুর ফলন আশানুরূপ হয়েছে। অথচ বাজার এরকম হবে ভাবতেই পারিনি।
তিনি আরো বলেন, এবছর আলু বীজ বেশি দামে কিনতে হয়েছে। তাই উৎপাদন খরচ গত বছরের চেয়ে বেশি ছিল। কিন্তু আলু বিক্রি করতে হয়েছে গত বছরের চেয়ে কম দামে।
লালমনিরহাটের আলু ব্যবসায়ী সাদিকুল ইসলাম জানান, আগের বছরগুলোতে আলু রপ্তানি করায় আলুর বাজার স্থিতিশীল ছিল। রপ্তানি চাহিদা কম থাকায় আলুর দামে মন্দ প্রভাব পড়েছে। ফলে কৃষক অপ্রত্যাশিতভাবে লোকসানের মুখে পড়েছেন।
লালমনিরহাটের ফজল কোল্ড স্টোরেজের মালিক আশিকুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘এক লাখ ৭০ হাজার বস্তা আলু আমার এখানে রাখা যায়। চাষিরা আলু নিয়ে হিমাগারের সামনে ভিড় করছেন। কিন্তু হিমাগারে তো আর জায়গা নেই। আমি নিরুপায় হয়ে তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছি। একই কথা জানা যায় লালমনিরহাটের শাহান কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার শহিদুল ইসলামের কাছ থেকেও।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামিম আশরাফ বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আলু বীজের দাম বেশি থাকায় আলু উৎপাদন খরচও বেড়েছে। গত বছর আলুতে আশানুরূপ লাভবান হওয়ায় কৃষকরা এবছর বেশি জমিতে আলু চাষ করেছেন। ব্যবসায়ীরা আলু রপ্তানিতে ভূমিকা রাখলে কৃষকরা সন্তোষজনক মূল্য পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।