Constanta Casino Review And Free Chips Bonus There are three different scatter symbols in this slot and these are represented by Columbus' ships the Nina, Pinta, and Santa Maria. Betsamigo Casino No Deposit Bonus 100 Free Spins The top two highest-value symbols are the Showgirl and the Slot Fathers top underling. No Wagering Free Spins Canada
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র- জনতার আন্দোলনে শহীদ ফয়সাল সকারের পরিবারে ‘ফয়সাল’ ছাড়া প্রথমবারের মতো এবার ঈদ কাটল শোকাচ্ছন্ন- নিরানন্দে। মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিনে শহীদ ফয়সালের বাড়িতে যেয়ে দেখা যায়, ফয়সালের বৃদ্ধা মা’ হাজেরা বেগম(৫৫) এবং একমাত্র ভাই মো. ফাহাদ সরকার বিষন্ন অবস্থায় ঘরের খাটে বসে আছেন। বাবা সফিকুল ইসলাম সরকার শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে কুমিল্লার একটি অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে সকালেই চলে গেছেন। বাড়িটা যেন নিরানন্দে- শোকাচ্ছন্ন হয়ে আছে। ফয়সালের মা’ সাংবাদিক দেখে- হাউ-মাউ করে কেঁদে কেঁদে বলতে থাকলেন, কত মানুষ দেখি, আমার মানিক ফয়সালকে দেখিনা। ঈদ কাটল আমার কলিজার টুকরা মানিক ছাড়া চোখের পানিতে। ৩০ রোজা কাটালাম মানিকের ফোন ছাড়া। আমার মানিক আর ভোররাতে ডেকে বললনা, মা’ সেহেরী খেয়েছ? ঈদের আগে কেনা কাটার জন্য টাকা পাঠিয়ে আর বললনা- মা টাকা পাঠিয়েছি, তোমার, বাবার এবং ফাহাদের জন্য ঈদের নতুন কাপড় কিনে নিও। ৬ বোন, বোন জামাই, ভাগ্নে-ভাগ্নীর জন্যও নতুন কাপড় কিনে দিও। ঈদের দিন সকালে নামাজ পড়ে এসে বললনা আর মা’ সেমাই দাও। কি অপরাধ ছিল আমার মানিকের? আমার ছেলেতো পেটের দায়ে বাসে কাজ করত, আমার কামাই করা পুতের লাশটিও আমরা পাইনি। আমার মানিকের কবরের পাশে কান্না করার সুযোগও পাচ্ছিনা। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। কঠিন বিচার। শহীদ ফয়সাল কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর গ্রামের নাজিম উদ্দিন সরকারবাড়ির মো. সফিকুল ইসলাম সরকারের ছেলে। শহীদ ফয়সালের ভাই মো. ফাহাদ সরকার জানান, ফয়সাল এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। এরই মধ্যে আট বিষয়ে পরীক্ষা শেষ করেছেন। ভাই লেখা পড়ার পাশাপাশি সংসারের অভাব ঘুচাতে শ্যামলী পরিবহনে সুপারভাইজার হিসেবে পার্টাইম কাজ করতেন। বাবা-মা, ভাইসহ পরিবার নিয়ে থাকতেন রাজধানীর আবদুল্লাহপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায়। ওখানে থেকে আমরা দুই ভাই দক্ষিণ খান এসএম মোজাম্মেল হক টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে লেখা পড়া করতাম। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর হিউম্যান রিসোর্স বিভাগে আমি প্রথম বর্ষে এবং ফয়সাল ভাই (এইচএসসি) পরীক্ষার্থী ছিলেন। ফয়সাল ভাই ফাইন্যাল পরীক্ষায় ১০ টির মধ্যে ৮ টি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ঘটনার দিন গত বছরের ১৯ জুলাই দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে দুই ভাইই ঘুমিয়ে পড়ি। ঘুম থেকে উঠে দেখি ভাই ঘরে নেই। পরে বড়বোন রোজিনা আপার কাছে জানতে পারি ভাই আবদুল্লাহপুরের শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে যাবে বলে বাসা থেকে বের হয়ে গেছেন। সন্ধ্যার পর তার ফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করলে বন্ধ পাই। এরপর আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করি। বাইরে তখনো গোলাগুলি চলছিল। কোথাও খোঁজ না পেয়ে ২৮ জুলাই দক্ষিণখান থানায় জিডি করি। আমার এক আত্মীয় পুলিশ ভাইয়ের সহযোগীতায় বিভিন্ন থানায় খোঁজ করে পাইনি। পরে ১২ দিন পর (১আগস্ট) বিকেলে ছবি নিয়ে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে যোগাযোগ করলে জানতে পারি আমার ভাই আর জীবীত নেই। তারা বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা মরদেহগুলোর ছবি দেখালে সেখানে ফয়সাল ভাইকে সনাক্ত করি। আমার ভাইয়ের লাশ রায়ের বাজার বদ্ধভূমিতে গণকবর খুড়ে এক সাথে ১২০ জনকে দাফন করে দেয়। গত ১৫ অক্টোবর প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলে আমার ভাই জিপিএ-৪.২৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এক সাংবাদিকের বরাত দিয়ে ফাহাদ আরো জানান, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহিংসতার রাস্তা পারাপারের সময় বিজিবি’র গুলিতে ফয়সাল সরকার (১৯) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার মাথার খুলি উড়ে যায়। তাকে প্রথমে কুয়েত মেডিকেলে এবং পরে সহোরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। ফয়সালের বাবা অসুস্থ্য, কানেও কম শুনেন। সংসারের হাল ধরতে ফাহাদ লেখাপড়া বন্ধ করে এখন মুদী দোকানে কাজ করছেন।