Free Mobile Slot Games Uk Therefore, invest some time into the research so you could find the best operator that offers good care of its customers. United Kingdom Roulette Wheel Diagram Disregard the potential of online gambling to boost land-based revenues. Canada And Online Gambling
দেবীদ্বার কুমিল্লা প্রতিনিধি :
নিখোঁজের ৭ দিন পর কিশোরির মরদেহ মিলল দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে। সংবাদ পেয়ে দেবীদ্বার থানা পুলিশ সোমবার রাতেই নিহতার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাত ৯টায় দেবীদ্বারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। মঙ্গলবার সকালে থানা অফিসার ইনচর্জ কমল কৃষ্ণ ধর জানান আমরা সংবাদ পেয়ে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করে এনে ছেলের বাড়িতে নিয়ে আসি। পরে তাকে ময়নাতদন্তের জন্য আবারো থানায় নিয়ে আসি। ওই ঘটনায় নিহতার বাবা থানায় একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানতে পেরেছি। গতরাতে বমি ও ডায়েরিয়া জনিত কারনে দেবীদ্বার হাসপাতালে ভর্তি ছিল, সোমবার সকাল ৯টায় তাকে (উর্মীকে) আশংকাজনক অবস্থায় কুমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। ওই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। ময়না তদন্তের পরই মৃত্যুর কারন নিশ্চিত করা যাবে।
এ ঘটনায় স্থানীয় সৃত্রে জানা যায়- দেবীদ্বার পৌর এলাকার ছোট আলমপুর গ্রামের উত্তরপাড়া সোধন ডিলারের বাড়ির ধনু মিয়ার পুত্র মো. সিয়াম(২৩), একই উপজেলার গজারিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার মো. রেজাউল করিমের কণ্যা, দেবীদ্বার মফিজ উদ্দিন আহমেদ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমাইয়া জাহান উর্মি(১৬)কে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাবে প্রায়ই উত্তক্ত করত। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রায় ১১ মাস পূর্বে সিয়াম উর্মীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং বয়স কম থাকায় হিজাব কুবুলের মাধ্যমে বিয়ে হয়।
পরবর্তীতে মেয়ের বাবা জানতে পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় হিজাব কবুলের বিয়ে ছাড়া ছাড়ি করে ছেলের বাড়ি থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এরই মধ্যে উর্মী দেবীদ্বার মফিজ উদ্দিন আহমেদ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়। গত ২২ অক্টোবর রাতে আবারো সিয়াম তার লোকজন নিয়ে উর্মীকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে আসে বলে অভিযোগ করেন নিহতের পরিবার । ওই ঘটনায় উর্মীর বাবা মো. রেজাউল করিম মেম্বার দেবীদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে এক সালিসে মেয়েকে তার বাবার হাতে তুলে দেন। এ বিয়ে উর্মীর পিতা মেনে না নেয়ায় এবং উর্মীর শশুর বাড়ির শারেরীক ও নির্যাতন তথা দুই পরিবারের টানপোড়ানে গত ২৬ নভেম্বর উর্মী হারপিক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ্য করে আনে।
গত ৫ নভেম্বর উর্মীর মামা ধামতী গ্রামের আব্দুল আউয়াল মারা গেলে উর্মী তার মা বাবার সাথে ধামতী গ্রামে যায়্। ওই দিন সন্ধ্যায় মামার বাড়ি থেকে উর্মী নিখোঁজ হয় বলে জানা যায়। পরে উর্মীর বাবা রেজাউল করিম মেম্বার সিয়ামকে অভিযুক্ত করে ২৬ নভেম্বর রাতে দেবীদ্বার থানায় একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। সিয়ামকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ করার পরদিন ক্ষুব্ধ সিয়াম তার এলাকার প্রায় ৩০/ ৩৫জন লোক নিয়ে উর্মীর বাবাকে বাড়ি থেকে তুলে এনে থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ পত্যাহারের চেষ্টা করে। গ্রামবাসীর হস্তক্ষেপে তারা চলে আসে। গত রোববার রাতে বমি ও ডায়রিয়ার কারনে নিহত উর্মীকে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। উর্মীর শারেরীক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে কুমেক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কুমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে ময়নামতি ক্যান্টনম্যান্ট এলাকায় তাকে ময়নামতি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে তাকে দেবীদ্বার সরকারি হাসপাতালে রেখে ওরা পালিয়ে যায়। অভিযোগের ৭দিন পর উর্মীর পরিবার তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে খুঁজে পায়।
এ ব্যপারে নিহত উর্মীর প্রতিবেশী চাচা রুবেল সরকার জানান, উর্মী স্কুলে আসা যাওয়ার পথে সিয়াম প্রেমের প্রস্তাবে তাকে উত্তক্ত করত। গত জানুয়ারী মাসে উর্মীকে অপহরণ করে নিয়ে সিয়াম হিজাব কবুলে বিয়ে করে। পরে আমরা ছারাছারি করে উর্মীকে বাড়িতে নিয়ে আসি। ধামতী গ্রামে তার মামার মৃত্যুর সংবাদে ওখানে যায়। সিয়াম ওখান থেকে তাকে আবারো তুলে নিয়ে যায় এমন অভিযোগ করেন তিনি। সিয়ামের পরিবার উর্মীকে তাদের বাড়িতে আটক রাখলেও আমাদের সাথে অস্বীকার করে আসছিল। মৃত্যুর পর তার মা ফেরদৌসী বেগম ফোনেই তার মৃত্যুর খবর জানান।
মেয়ের বাবা রেজাউল করিম মেম্বার জানান, আমার মেয়ে নাবালিকা চলতি বছর এসএসসি পাশ করেছে। তাকে গত ৫ নভেম্বর সিয়াম তার মামার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে এমন অভিযোগ করেন নিহতের বাবা
রেজাউল করিম। তিনি জানান (১২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে সাড়ে ৮টায় ছেলের মা’ ফেরদৌসী বেগম ফোনে জানিয়েছে আমার মেয়ে ডায়েরিয়ায় মারা গেছে, দেবীদ্বার সরকারি হাসপাতালে উর্মীর মরদেহ পড়ে আছে। হাসপাতাল এসে দেখি এ্যাম্ব্যুল্যান্সে আমার মেয়ের মরদেহ। এ দিকে অভিযুক্ত সিয়াম জানায়, আমাদের প্রেমের সমর্কে বিয়ে হয়। তাকে কে বা করা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে আমি জানিনা। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল দেখতে আসি।