7777 Casino Bonus Codes 2025 Only the Money, Multiplier, and Extra Spin symbols are in play during the respin round. Bingo Rochester Ireland As of today, only Michigan, New Jersey, and Australia have a live dealer section available for US players. Bet Online Casino Bonus
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বাংলাকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এ অঞ্চলের উন্নতির জন্য ভারত-বাংলাদেশকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দশ দিনব্যাপী আয়োজিত ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানের শেষ দিনে শুক্রবার সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে মোদি একথা বলেন।
মোদি বলেন, দুই দেশের এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের শক্তিশালী গণতন্ত্র রয়েছে। ৭১ সালের মতো এখনো সমান বিপদও রয়েছে। এই জাতীয় অমানবিক ঘটনাবলীর পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবে রূপদানকারী শক্তিগুলো এখনো সক্রিয় রয়েছে। আমাদের অবশ্যই তাদের থেকে সাবধানে থাকতে হবে এবং ওদের মোকাবিলা করার জন্য সংগঠিতও হতে হবে। আমাদের উভয় দেশেই গণতন্ত্রের শক্তি রয়েছে, এগিয়ে যাওয়ার সুস্পষ্ট দূরদর্শিতা রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অগ্রযাত্রা এই পুরো অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য সমান জরুরি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের তরুণদের জন্য ভারতে সুবর্ণজয়ন্তী স্কলারশিপের ঘোষণা দেন। তিনি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ভারতে গিয়ে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে ভারতে গিয়ে ভারতের ব্যবসায়ীদের শেখাতে এবং শিখে আসার অনুরোধ করেন মোদি।
বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাই, যিনি সোনার বাংলার স্বপ্নের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। মোদি তার বক্তব্যে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদদের।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণকে ভারতের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান নরেন্দ্র মোদি।
বিকাল সাড়ে ৪টায় মোদি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠানস্থলে এলে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা তাকে স্বাগত জানান।
এরপর ছায়ানটের শিল্পীদের কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিনে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অতিথিরা মঞ্চে এলে পাঠ করা হয় ধর্মগ্রন্থ থেকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার সকালে দুদিনের সফরে ঢাকায় আসেন।
সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোদি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যান।
সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে তিনি বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
সফরের দ্বিতীয় দিন, ২৭ মার্চ সকালে মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ পরিদর্শন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
তাছাড়া, তিনি সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে দুটি মন্দির পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মতবিনিময় করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
শনিবার বিকালে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক ছাড়াও প্রতিনিধি পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচিত হবে। বৈঠকের প্রান্তিকে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে।
সমঝোতা স্মারক এবং প্রকল্প উদ্বোধনের বিষয়টি চূড়ান্তকরণের জন্য দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উভয় প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে নিজ নিজ দেশের পক্ষে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে পৃথক দুটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করবেন।
এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সফর শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৭ মার্চ রাতে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।