1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  3. info@wp-security.org : Security_90903 :
  4. : wp_update-f97b9a8d :
  5. polyanitsya2022@rambler.ru : wpcore :
  6. polyanitsya2022@rambler.ru : wpcore :
  7. pwtadmin@debidwarerjanomot.com : :

Free online crypto casino machines

  1. Best Online Casinos With No Deposit Bonus Codes: Transparent bonus terms are attached to every promotion, so you can accept (or decline) a promotion without a guilty conscience.
  2. 400 Deposit Bonus - Appearing in France in the eighteenth century, roulette instantly won gamblers affection and has since remained one of the most popular and widespread types of games in both traditional casinos and online casinos.
  3. Real Money Online Casino Free Play No Deposit: Once youre there, the Savanna Stampede is on.

App to empty slot machines

Australia No Deposit Bonus Online Casinos
In this game there is a real-life croupier with whom you can interact and you can play along with your fellow Australian players and even with people from all over the globe.
Casino Age Limit In United Kingdom
All the three Australia casino venues are mainly racetracks.
It has been in operation for more than three years and is used by over 16,000 merchants every month.

Bet victor free spins

Constanta Casino Review And Free Chips Bonus
There are three different scatter symbols in this slot and these are represented by Columbus' ships the Nina, Pinta, and Santa Maria.
Betsamigo Casino No Deposit Bonus 100 Free Spins
The top two highest-value symbols are the Showgirl and the Slot Fathers top underling.
No Wagering Free Spins Canada

বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৫ অপরাহ্ন

৪ ডিসেম্বর দেবীদ্বার মুক্তদিবস

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৫০১ বার দেখা হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক //

৪ ডিসেম্বর দেবীদ্বার পাক হানাদার মুক্তদিবস।  ১৯৭১সালের এই দিনে দেবীদ্বার পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিল। দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করার লক্ষ্যে দেবীদ্বার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। সকাল ১০টায় সর্বস্তরের জনতার উপস্থিতিতে উপজেলা কমপ্লেক্স থেকে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হবে। স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদদের স্মরনে দেবীদ্বার নিউমার্কেট মুক্তিযোদ্ধা চত্বর ও গণকবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, উপজেলা পরিষদ ‘হল রোমে’ ‘মুক্তিযুদ্ধে দেবীদ্বার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আ‌য়োজন করা হয়েছে।

১৯৭১ সলের রক্তে ঝরা দিনগুলোতে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমনে হানাদার মুক্ত হয়েছিল কুমিল্লার বিভিন্ন অঞ্চল। তারই ধারাবাহিকতায় দেবীদ্বার এলাকা হানাদার মুক্ত হয়েছিল ৪ ডিসেম্বর। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ অভিযানে ওইদিন হানাদারদের বিরুদ্ধে আক্রমন পরিচালনা করে। ৩ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিবাহিনী ‘কুমিল্লা-সিলেট’ মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ সেতুটি মাইন বিষ্ফোরনে উড়িয়ে দেয়। মিত্রবাহিনীর ২৩ মাউন্ড ডিভিশনের মেজর জেনারেল আর.ডি হিরার নেতৃত্বে বৃহত্তর কুমিল্লায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। মিত্রবাহিনীর একটি ট্যাংক বহর বুড়িচং ব্রাক্ষনপাড়া হয়ে দেবীদ্বারে আসে। হানাদাররা ওই রাতেই দেবীদ্বার ছেড়ে কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসে পালিয়ে যায়। ধীরে ধীরে মুক্তিবাহিনীর বিভিন্ন গ্রুপ দেবীদ্বার সদরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এরই মধ্যে মিত্রবাহিনীর ট্যাংক বহরটি দেবীদ্বার থেকে চান্দিনা রোডে ঢাকা অভিমুখে যাওয়ার সময় মোহনপুর এলাকায় ভুল বোঝাবুঝির কারনে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে গুলি বিনীময় হলে মিত্রবাহিনীর ৬ সেনা সদস্য নিহত হয়। এই দিনে দেবীদ্বারের উল্লাসিত জনতা ও মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন বাংলার পতাকা নিয়ে বিজয় উল্লাসে ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানে মেতে উঠে। দুপুর পর্যন্ত ওইদিন হাজার হাজার জনতা বিজয় উল্লাসে উপজেলা সদর প্রকম্পিত করে তোলে।

তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের প্রধান সেনা ছাউনি কুমিল্লা ময়নামতি ক্যান্টনম্যান্ট সন্নিকটে থাকায় এঅঞ্চলের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। স্বাধীনতা ঘোষনার মাত্র ৩ দিনের মধ্যেই অর্থাৎ ২৯মার্চ রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরের বাইরে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সু-সজ্জিত ১৪জনের একটি দল ব্রাক্ষণবাড়িয়া থেকে পায়ে হেটে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান সেনা ছাউনি কুমিল্লা ময়নামতি ক্যান্টনম্যান্টে যাওয়ার পথে দেবীদ্বার এলাকায় স্থানীয় জনতার সাথে সন্মূখ যুদ্ধ সংঘঠিত হয়। ওই যুদ্ধে নিরস্ত্র বাংগালীরা পুরো দলটিকে পরাস্ত করে বিজয় ছিনিয়ে আনার গৌরব অর্জণ করে। স্বাধীনতা ঘোষনার মাত্র ৩ দিনের মধ্যে রাজধানী, বিভাগীয় ও জেলা শহরের বাইরে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সু-সজ্জিত ১৪সদস্যের পাক সেনার একটি দলকে পরাস্ত করে নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের বিজয় ছিনিয়ে আনার গৌরব সম্ভবতঃ এটাই বাংলাদেশে প্রথম।

যে যুদ্ধটি ‘ভিংলাবাড়ি-জাফরগঞ্জ শ্রীপুকুরপাড় জামে সমজিদ যুদ্ধ’ নামে পরিচিত এবং কাক ডাকা ভোর রাত থেকে সন্ধ্যা নাগাদ এ যুদ্ধে ১৪ পাক সেনাকে হত্যা করতে আবুল কাসেম, সৈয়দ আলী, আব্দুল মজিদ, তব্দল ড্রাইভার, মমতাজ বেগম, সফর আলী, নায়েব আলী, সাদত আলী, লালমিয়া, ঝারু মিয়া, আব্দুল ড্রাইভার, ফরিদমিয়া, আব্দুর রহিমসহ ৩৩বাঙ্গালী শহীদ ও অর্ধশতাধিক বাঙ্গালী আহত হয়েছিলেন। যে যুদ্ধে দেবীদ্বার থানার অস্ত্রাগার লুন্ঠন করে ওই লুন্ঠিত অস্ত্র এবং বঙ্গজ হাতিয়ার লাঠি, দা, সাবল এমনকি মরিচের গুড়া নামক অস্ত্রটিও শত্রæ নিধনে ব্যবহার হয়েছিল সেদিন।

১৪এপ্রিল সমতট রাজ্যের রাজধানী খ্যাত এবং হিন্দু অধ্যুসিত বরকামতা গ্রামে পাক হানাদাররা হামলা চালানোর সংবাদে কমিউনিস্ট নেতা আব্দুল হাফেজের নেতৃত্বে প্রায় পাঁচ হাজার বাঙ্গালী মাত্র দুটি থ্রী-নট থ্রী রাইফেল ও লাঠি নিয়ে শত্রুেসেনাদের উপরঝাপিয়ে পড়ে। রাইফেলের গুলিতে এক প্লাটুন সৈন্যেও পাঁচজন লুটিয়ে পড়লে কিংকর্তব্য বিমূঢ় পাক সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং ওই রাতে ফিরে এসে হিংস্র হায়ানারা লুটপাট, নির্যাতনসহ অগ্নীসংযোগে পুরো গ্রামটি জ¦ালিয়ে ছারখার করে দেয়।

২৪জুন মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকার বাখরাবাদ গ্রামে পাক হায়ানাদের এক নারকীয় হত্যাজজ্ঞে অগ্নীসংযোগ লুটপাট, নারী নির্যাতনসহ ২৪০ নিরীহ বাঙ্গালীকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং ওই দিন ২১যুবককে ধরে দেবীদ্বার ক্যাম্পে আনার পথে একজন পালিয়ে গেলেও অপর ২০জনকে দেবীদ্বার সদরে পোষ্ট অফিস সংলগ্নে ধৃতদের কর্তৃক গর্ত খুড়ে চোখ বেঁধে ব্রাস ফায়ারে হত্যা করে একজন ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলে বাকী ১৯জনকে ওই গর্তে চাপা দেয়া হয়। দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাব ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কর্তৃক দীর্ঘ আন্দোলনের পর গত আগষ্ট মাসে ওই বধ্যভূমিতে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মান করা হয়।

৬সেপ্টেম্বর রাজাকারদের সহযোগীতায় পাক হায়ানারা বারুর গ্রামে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিলে মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি দল সম্মূখ সমরে জয়নাল আবেদীন, বাচ্চুমিয়া, শহিদুল ইসলাম,আলী মিয়া, আব্দুস সালাম, সফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ হোসেনসহ ছয় মুক্তিযোদ্ধা শাদাত বরণ করেন ভাগ্যক্রমে অপর একজন বেঁেচ যান।

১৪ সেপ্টেম্বর দেবীদ্বার উপজেলার মহেশপুর গ্রামে পাক হায়েনাদের বিভীষিকাময় হত্যাযজ্ঞের শিকার শহীদ ১৪ নিরীহ বাঙ্গালী ।

২নং সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নির্দেশে নারায়নগঞ্জ নৌবন্দর ধ্বংস করতে যাওয়া ১৭ সেপ্টেম্বর নৌ-কমান্ডো’র ল্যাপ্টেন্যান্ট মোঃ ফজলুল হকের নেতৃত্বে নৌকমান্ডের ৫সদস্যের একটি দল বাগিরতি নদীর তীরে ট্রেনিং শেষে দেবীদ্বার পোনরা হয়ে যাওয়ার পথে পাক সেনাদের সাথে মুখমুখী যুদ্ধ সংঘঠিত হয়। এ যুদ্ধে নারায়নগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা আবুবকরসহ ২জন যোদ্ধা শহীদ হন।

ওই সময় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের রাজামেহার এলাকায় মাইন বিস্ফোরনে সাত পাকসেনা নিহত হলে ওই এলাকার দু’পাশের প্রায় তিন কিলো মিটার এলাকা জ¦ালিয়ে দেয় শত্রæসেনারা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেবীদ্বার উপজেলার নলআরায় (ফতেহাবাদ গ্রামের একটি গভীর জঙ্গল) এবং ন্যাপ প্রধান এলাহাবাদ গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিতে দু’টি অস্থায়ী ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ওখান থেকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে চলে যেত। ওই দু’টি অস্থায়ী ক্যাম্পের মধ্যে নলআরায় একটি স্মৃতিসৌধ নির্মানের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

২৯নভেম্বর ভূষণা ও ধামতী গ্রামকে মুক্তিযোদ্ধাদের নিরাপদ ঘাটি হিসাবে চিহ্নীত করে পাক হায়ানাদের একটি বিশাল বাহিনী হামলা চালায়। ধামতী গ্রামের বিখ্যাত চৌধূরী বাড়িসহ নব্বইটি বাড়ি, ভূষণা গ্রামের ষোলটি বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। পাক হায়ানারা ভূষণা গ্রামের ছয় নিরিহ বাঙ্গালী ও ধামতী আলীয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সর্বজন শ্রদ্ধেয় পীর আজিমউদ্দিন সাহেবের নাতি শরিফুল্লাহ, অধ্যক্ষ হালিম হুজুরের দু’ভাগ্নে জহুর আলী ও আব্দুল বারি, সহোদর তাজুল ইসলাম ও নজরুল ইসলামকে তাদের স্বজনদের সামনে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়াও পোনরা গ্রামে (নরসিংদী জেলার) মুক্তিযোদ্ধা আবুবকর, ভিড়াল্লা গ্রামের শহীদ মজিবুর রহমানের কবর পথিকের হৃদয় এখনো আলোড়িত করে।

এছাড়াও মুক্তি যুদ্ধে দেবীদ্বার বাসীর অবদান ছিল প্রশংসনীয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামন্ডুলীর সদস্য ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ, ন্যাপ-সিপিবি-ছাত্র ইউনিয়ন কর্তৃক গঠিত ‘বিশেষ গেরিলাবাহিনী’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কমরেড আব্দুল হাফেজ, পালাটোনা ক্যাম্প প্রধান কিংবদন্তী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন সুজাত আলী, মুক্তি যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আজগর হোসেন মাষ্টার, সাবেক এমএনএ আব্দুল আজিজ খান, শহীদ নুরুল ইসলাম, শহীদ শাহজাহানসহ অসংখ্য কিংবদন্তী মুক্তিযোদ্ধার অবদান ছিল স্মরনীয়।

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান সেনা ছাউনি কুমিল্লা ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট দেবীদ্বারের খুব কাছে থাকার কারনে এ এলাকার মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা যেমন বেশী ছিল, তেমনি রাজাকারদের সহযোগীতায় এ অঞ্চলে নারকীয় হত্যাজজ্ঞ, লুন্ঠন, নারী নির্যাতন, অগ্নীসংযোগসহ নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে এ এলাকার মানুষ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২১
Theme Customized BY NewsFresh.Com