On Line Casinos Australia The free spins winnings have a WR of 60x and a max cashout limit of 5x. Blackjack City Casino No Deposit Bonus Codes For Free Spins 2025 WV gamblers can contact the operators support team through live chat, phone, and contact forms. Live Online Roulette Casinos
গুলশান থানার উপপরিদর্শক শামীম হোসেন জানিয়েছেন, এএসআই আব্দুল রশিদ, গোলাম মোস্তফা, জান্নাতুল ফেরদৌসসহ নুসরাত জাহান ও ফারহানা সুলতানার সহায়তায় মেয়েটির মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামানো হয়।
সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, জিহ্বা মুখ থেকে বাইরে ছিল। গলার বাম পাশে অর্ধচন্দ্রাকৃতির গভীর কালো দাগ দেখা যায়। হাত দুটি শরীরের সঙ্গে লম্বালম্বি অর্ধমুষ্টি ছিল।
গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার রাতেই রাজধানীর গুলশান থানায় ৩০৬ ধারায় ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়া’র অভিযোগে বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর বিরুদ্ধে মামলা করেন মোসারাতের বড় বোন নুসরাত জাহান। মামলা নম্বর২৭। এরপরই এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়। এরইমধ্যে আদালত সায়েমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
মুনিয়ার দুলাভাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের শেষ দিকে আনভীরের সঙ্গে ফেসবুকে তার শ্যালিকার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। ২০২০ সালের মার্চে মেয়েটি কুমিল্লায় চলে যায়। আর গত বছরের জুন-জুলাইয়ে পরীক্ষা থাকায় তাকে আবার ঢাকায় পাঠানো হয। এরপর আবার আনভীরের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। তারা বাসা ভাড়া নেন।
পুলিশের গুলশান জোনের উপকমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গত ২৩ এপ্রিল গুলশানের ওই বাসায় একটি ইফতার পার্টি হয়। সে পার্টির ছবি ফেসবুকে আপলোড করা হলে মেয়েটির সঙ্গে ওই এমডির মনোমালিন্য হয়। পরে মেয়েটি তার বোন নুসরাতকে ফোন করে জানান, যেকোনও মুহূর্তে তার যেকোনও ঘটনা ঘটতে পারে।
বোনের ফোন পেয়ে সোমবার বিকেলেই কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন নুসরাত জাহান। তবে গুলশানের ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান। মিস্ত্রি দিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশের পর ছোট বোনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান মামলার বাদী নুসরাত।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান মামলাটির তদন্ত করছেন। এরইমধ্যে ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভির ফুটেজ ও মুনিয়ার ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইসগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুনিয়ার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান। মেয়েটির পরিবার কুমিল্লায় থাকে। এখানে গুলশানের ওই ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন।
গুলশান থানা পুলিশ জানায়, মুনিয়া যে ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন চুক্তিপত্র অনুযায়ী ওই ফ্ল্যাটটির মাসিক ভাড়া ১ লাখ টাকা। সেখানে অগ্রিম দেয়া হয়েছে ২ লাখ টাকা। এরইমধ্যে দুই মাসের ভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে।
মুনিয়ার দুলাভাই আরও জানান, মুনিয়া তার বড়বোনের (নুসরাত জাহান) সঙ্গে রবিবার রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই কথা বলেছে। তবে ভয় পাওয়ার কথাও সে আগের রাতে বলেছিল।
মুনিয়া ছাত্রী হিসেবে মেধাবী ছিল জানিয়ে তার দুলাভাই বলেন, ‘সে সুন্দর আর্ট করতে পারতো, অসাধারণ ছবি আঁকতে পারতো। তার হাতের লেখা সুন্দর হওয়ার কারণে তার ইচ্ছে ছিল কোরআন হাতে লিখবে। এইচএসসি পাস করে তার ইচ্ছে ছিল আর্কিটেক্ট হবে।’
গতকাল ময়নাতদন্তের পর মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় নেয়া হয় এবং সেখানে বাবা-মায়ের কবরের পাশেই মুনিয়াকে দাফন করা হয়।
এদিকে মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলার আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম। একইসঙ্গে ৩০ মে’র মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করারও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামি সায়েম সোবহান যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে গতকালই জানিয়েছেন পুলিশের গুলশান জোনের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।