Constanta Casino Review And Free Chips Bonus There are three different scatter symbols in this slot and these are represented by Columbus' ships the Nina, Pinta, and Santa Maria. Betsamigo Casino No Deposit Bonus 100 Free Spins The top two highest-value symbols are the Showgirl and the Slot Fathers top underling. No Wagering Free Spins Canada
বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: করোনার প্রকোপে বিপর্যস্ত ভারত। হাসপাতালগুলো ভয়াবহ সংকটে। মহামারি দ্বিতীয় ঢেউ রোধে ভারতের স্বাস্থ্যব্যবস্থার নাজুক পরিস্থিতি সামনে এসেছে। এমন সংকটকালে মৃত্যু ও সংক্রমণ ঠেকাতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠি।
দেবী শেঠি বলেছেন, ভারতের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে জরুরিভিত্তিতে বাড়াতে হবে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) শয্যার সংখ্যা। আর এর জন্য আপাতত অক্সিজেন সরবরাহ থাকা সাধারণ শয্যাগুলোকেই উন্নততর করে তুলতে হবে।
ভারতের প্রখ্যাত এই চিকিৎসক বলেছেন, আইসিইউ শয্যার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন পরীক্ষার বসার জন্য অপেক্ষারত নার্স ও চিকিৎসকদেরকেও সামিল করতে হবে করোনাযুদ্ধে। তা না হলে পর্যাপ্ত আইসিইউ শয্যা, নার্স ও চিকিৎসকের অভাবে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা সামনের তিন-চার মাসে লাগামের বাইরে চলে যাবে। ভয়ঙ্কর গতিতে বাড়বে সংক্রমণের হারও।
সর্বভারতীয় একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাতকারে দেবী শেঠি বলেছেন, দেশজুড়ে অক্সিজেনের ঘাটতির পরেই এখন প্রায় সব সংবাদমাধ্যমেরই শিরোনাম, কোনও নার্স ও চিকিৎসক নেই বলে আইসিইউ-তে থাকা কোভিড রোগীদের মৃত্যু হচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনার প্রথম ঢেউ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আগামী ৩ থেকে ৪ মাস সংক্রমণের হার থাকবে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে। এখন দিনে তিন লাখ মানুষ তাত্ত্বিক দিক থেকে এটা বলা যায়, প্রতি ১ জন কোভিড পজিটিভের থেকে অন্তত নতুন করে আরও ৫ জন মহামারি এই ভাইরাসে সংক্রমিত হবেন, পরীক্ষা না করা হলেও।
এর অর্থ হলো, দিনে ১৫ লাখ মানুষ এখন করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন। যদি ধরে নেওয়া যায় যে, তাদের ৫ শতাংশকে আইসিইউ-তে রাখার প্রয়োজন হবে, তা হলেও প্রতি দিন আরও ৭৫ হাজার আইসিইউ শয্যার ব্যবস্থা করতে হবে দেশের হাসপাতালগুলোতে।
‘কিন্তু হাসপাতালগুলির আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৭৫ হাজার থেকে ৯৫ হাজারের মধ্যে। যেগুলোর একটিও খালি নেই। ফলে আর কয়েকদিনের মধ্যে বাড়তি ৫ লাখ আইসিইউ শয্যার ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে বেঘোরে প্রাণ হারাতে হবে কোভিড রোগীদের।’
এত অল্প সময়ে কীভাবে এত আইসিইউ শয্যা এতটা বাড়ানো সম্ভব হবে, এমন প্রশ্বের জবাবে দেবী শেঠি জানিয়েছেন, তার জন্য হাসপাতালগুলোর অক্সিজেন সরবরাহ থাকা সাধারণ শয্যাগুলোর সঙ্গে জরুরি চিকিৎসার আরও কয়েকটি যন্ত্র জুড়ে দিয়ে সেগুলোকে আইসিইউ শয্যায় বদলে ফেলা প্রয়োজন।
কিন্তু আইসিইউ তো আর কোভিড রোগীদের চিকিৎসা করবে না। সেটা করবেন নার্স ও চিকিৎসকরা। অথচ মহামারি শুরুর আগেই ভারতের হাসপাতালগুলোতে নার্স-চিকিৎসকের ঘাটতি ছিল ৭৬ শতাংশ। প্রথম ঢেউয়ের সময় যারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন করোনাযুদ্ধে তারাও এখন কিছুটা ক্লান্ত। দৈনিকটির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় প্রখ্যাত এই চিকিৎসকের কাছে।
সে ক্ষেত্রে তার পরামর্শ, ‘এই কাজে সবার আগে তরুণদের আনতে হবে। ভারতের মতো জনসংখ্যার দেশে কয়েকদিনে কয়েক লাখ তরুণকে করোনাযুদ্ধে সামিল করানোটা খুব দুরূহ কাজ নয়।’
দেবী শেঠি জানিয়েছেন, ‘সারা দেশে এখন ২২ লাখ নার্স আছেন, যারা বিএসসি স্তরের ট্রেনিং শেষ করে পরীক্ষায় বসার অপেক্ষারত। তাদের এবং প্যারামেডিকেলের ছাত্র-ছাত্রীদের এক বছরের জন্য পরীক্ষায় না বসিয়ে আপাতত করোনাযুদ্ধে সামিল করানো উচিত।’
দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরও অভাব যথেষ্টই। দেবীর মতে, ‘চিকিৎসাশাস্ত্র ও অস্ত্রোপচারের বিভিন্ন শাখায় দেশে এখন এমন অন্তত ২৫ হাজার তরুণ চিকিৎসক আছে, যাদের প্রশিক্ষণের কাজ প্রায় শেষের পর্যায়ে। প্রশিক্ষণ বন্ধ রেখে তাদেরও সামিল করানো উচিত করোনাযুদ্ধে। এ ছাড়াও ইনটেনসিভ কেয়ার কার্ডিওলোজি ও ইমারজেন্সি মেডিসিনে হাজার হাজার ডিপ্লোমাধারী রয়েছেন। তাদেরও কোভিড রোগীদের সেবার অনুমতি দেওয়া হলে সমস্যার অনেকটা সুরাহা হবে।’
এ ছাড়াও স্নাতকোত্তর কোর্সে সুযোগ পাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রায় দেড় লক্ষাধিক তরুণ চিকিৎসক। স্নাতকোত্তরে আসন সংখ্যা মাত্র ৩৫ হাজার। ফলে এক লাখেরও বেশি তরুণ চিকিৎসক এ বছর স্নাতকোত্তরে পড়ার সুযোগ পাবেন না। এর বাইরেও রয়েছেন আরও ২০ হাজার তরুণ চিকিৎসক, যারা বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে স্নাতক শেষ করেছেন কিন্তু ভারতের কোনো মেডিকেল কলেজে ঢোকার প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি।
দেবী শেঠির পরামর্শ, ‘করোনাযুদ্ধে জরুরিভিত্তিতে তাদের সবাইকে কেন্দ্রীয় সরকার যদি এতে সামিল করাতে পারেন, তবেই কাজ হবে। না হলে দেখতে হবে মৃত্যুমিছিল আর লাগামছাড়া সংক্রমণ।’